জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ও পাবলিক হেলথ বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদন করার দাবিতে উপাচার্যের সাথে বৈঠক করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ৷
আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১২টায় উপাচার্য অফিসে এই বৈঠক শুরু হয়।
আলোচনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দু’টি ভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ ও শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের দ্রুত বিচার দাবি জানানো হয়। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম তার প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ জানান এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আলোচনা শেষে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, মাহমুদুর রহমান যে ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য এই ঘটনার দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। অচিরেই একটি মোর্চা গঠন করা হবে। পরবর্তীতে কর্মসূচীও ঘোষনা করা হবে। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ হোক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনীছা পারভীন, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী, ছাত্র ইউনিয়নের সাংঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ, ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে গতকাল (৯ জানুয়ারি)। এছাড়া মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি ও অনৈতিকভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তদন্ত করতে গত ৮ ডিসেম্বর অধ্যাপক আনোয়ার খসরু পারভেজকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।