দুবাই থেকে দেশে আসা এক যাত্রীর লাগেজে মিলেছে প্রায় ২৩ লাখ সৌদি রিয়াল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬ কোটি টাকা সমমূল্যের সৌদি রিয়াল (২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০রিয়াল) জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ও ঢাকা কাস্টম হাউসের যৌথ টিম। লাগেজের মালিক মামুন খান ইমিগ্রেশন শেষ না করেই বিমানবন্দর থেকে পালিয়েছেন।
বুধবার রাতে দুবাই থেকে আসা যাত্রী মামুনের লাগেজ থেকে ওই সৌদি রিয়াল উদ্ধার করা হয়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চেকিং হচ্ছিল। সে সময় ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জারস হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রিনিং রুমের স্ক্যানিং মেশিনে লাগেজটি স্ক্যান করা হলে মুদ্রা সদৃশ বস্তুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। লাগেজটির মালিককে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থা ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির উপস্থিতিতে লাগেজটি কাস্টমস হলে এনে খোলা হয়। লাগেজে থাকা ৩৪টি শার্টের ভেতরের কাগজের বোর্ডের মধ্যে কাগুজে মুদ্রাগুলো বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ছিল।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীকে খুঁজে না পাওয়ায় লাগেজের সঙ্গে থাকা ট্যাগ থেকে এমিরেটস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সহায়তায় যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
বুধবার রাতে যাত্রী মামুন খান এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (EK 585) ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য চেক ইন করেন। এ ঘটনায় লাগেজের মালিক ইমিগ্রেশন কমপ্লিট না করেই এয়ারপোর্ট ছাড়েন মামুন।
এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলছে উল্লেখ করে উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী বলেন, জব্দ করা বৈদেশিক মুদ্রা ও লাগেজ ট্যাগের সঙ্গে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত যাত্রীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান।
জব্দ করা বৈদেশিক মুদ্রা কাস্টমস গুদামে জমা দেওয়া হবে। এছাড়াও কাস্টমস অ্যাক্ট ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান কাস্টমস গোয়েন্দার এ কর্মকর্তা।