আগামী ০১ অক্টোবর ২০২২ থেকে ০৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামন্ডপে
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনে উৎসাহ উদ্দীপনার
পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ পূজার নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন
পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পূজা উদ্যাপনকে নির্বিঘ্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকেও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৯টি নির্দেশনা প্রদান করেন। যার মধ্যমে পূজামন্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও ২৪ ঘন্টা আনসার বাহিনীর দায়িত্ব পালন, গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি, সব পূজামন্ডপে নিজ খরচে বাধ্যতামলক সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না এমন জায়গায় পূজামন্ডপ না করা, বাধ্যতামূলক আর্মব্যান্ড পরিহিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ̧জব প্রতিরোধে অনলাইন মনিটরিং এবং ̧গুজব প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা গ্রহণ, পুলিশ সদর দপ্তর এবং জেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন, ভ্রা্ম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং আজানের সময় বাদ্যযন্ত্র বাজানোর বাধ্যবাধকতার বিষয়সমূহ রয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্তেও অনেক পূজা মন্ডপেই এখন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি সিসি ক্যামেরা, গঠন করা হয়নি স্বেচ্ছাসেবক দল এবং অনিরাপদ স্থানে স্তাপন করা হচ্ছে অস্থায়ী পূজামন্ডপ।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ না করে পূজামন্ডপের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা বিঘ্নিত করলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার দায়ভার সংশ্লিষ্ট পূজা উদ্যাপন কমিটিকেই নিতে হবে, যে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পস্ট জানিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া, বিভিন্ন পূজা মন্ডপের কমিটির মধ্য মধ্যস্তিত অন্তঃকোন্দলের কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিমা ভাংচুরের মতো ঘটনাও ঘটছে। পূজা শুরু হওয়ার পূর্বেই কমিটি বিষয়ক দ্বন্দসমূহ সমাধান করে দূর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন করা প্রয়োজন।
নানা সময় ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিজেদের মধ্যকার কিংবা স্থানীয় মুসলমানদের সাথে দ্বন্দের বিষয় গুলোকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রচার করা হয়। যেকোন সাম্প্রদায়িক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার্তা প্রদান করা হয়েছে।