জনগণের সরকারকে ভাবতে হয় পরবর্তী প্রজন্মের ভালো কীভাবে হবে। এজন্য বর্তমান সরকার আগামী প্রজন্মকে আরও ভালো দেশ উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বিশ্বের সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে সংস্কার নয়; রূপান্তর প্রয়োজন। এজন্য ৩৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রূপান্তর করতে হবে। এজন্য ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলট প্রকল্প চলছে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক কিশোরী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, এখনই সময় ভবিষ্যৎ গড়ার, নিশ্চিত করো নিজের অধিকার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিজ্ঞান মনস্ক ও প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষার্থী তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা যেন কেবল প্রযুক্তিতে দক্ষ নয় বরং উদ্ভাবনেও দক্ষ হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলছি। স্টেম শিক্ষা পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় স্কুল থেকেই চালু করা হবে। যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করবে না বরং প্রায়োগিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিখবে।
কারিগরি শিক্ষায় সরকার নজর দিচ্ছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থী মোট শিক্ষার্থীর ২০ ভাগে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্যে কাজ করে এখন কারিগরি শিক্ষার্থী ১৭ ভাগের বেশি। যেখানে ২০০৮ সালে ছিল এক ভাগের কম। ২০৩০ সালে লক্ষ্য ৩০ ভাগ।
অনেকে উচ্চাভিলাষী বললেও এটা বাস্তবায়ন করে দেখাবেন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রাপ্তি নামক এক শিশু অ্যাক্টিভিস্ট বলে, বাড়ির বাইরে ঘুরতে গেলেও হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। মতপ্রকাশেরও কোনো স্বাধীনতা নেই। সবচেয়ে বড় বাঁধা বলে মনে করি লেখাপড়ার বাঁধা। গ্রামে বলা হয় মেয়েরা পড়ালেখা করে কি করবে? এজন্য নারী শিক্ষার্থীদের সচ্ছলতা যেন আসে সেদিকে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করে সে।
শিশু সাংবাদিক কারিমা ফেরদৌসী কেকা বলেছে, বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর ভর করে চলছে। বিশ্ব এখন তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে চলছে, আর সামনে আসছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেন বাংলাদেশ পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজন স্টেম শিক্ষাপদ্ধতি।
উল্লেখ্য, সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথম্যাটিকস- এ চারটি বিষয়ের আদ্যক্ষর মিলিয়ে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে স্টেম এডুকেশন।
অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাজা আব্দুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।