Wednesday , 17 April 2024
শিরোনাম

দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই : সায়েম সোবহান আনভীর

দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই। আমার কাজ ছিল জুয়েলারি খাত গুছিয়ে আনার। সেটা করেছি। এখন এই শিল্পকে ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ সারা দেশের ৪০ হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর।

বাংলাদেশে এই যে বড় বড় উন্নয়ন হচ্ছে, আরো উন্নয়ন পরিকল্পনা হচ্ছে, এগুলো একটা সময় আমার কাছে স্বপ্ন মনে হতো। কিন্তু আমার এখন অনেক সাহস হয়ে গেছে। আমি এখন বাংলাদেশে যে কোনো মেগা শিল্পকারখানা করার জন্য প্রস্তুত। কারণ আমার এই শক্তির যোগান দিচ্ছে সরকার। এই সরকার গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নে মিরাকল ঘটিয়েছে। যা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় অবিশ্বাস্য রোল মডেল। আমি আজকে বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করি। ’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত ‘বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২২’র সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করি। আমার অনুপ্রেরণা ইতিবাচকতা ও উৎপাদনশীল এবং অগ্রগতি। আর ভালো কাজে বাধা আসবে, এটাই স্বাভাবিক। ভালো কাজ করতে কষ্ট হবেই। এটার সুফল অনেক বড় এবং স্থায়ী। যে কোনো জিনিসই প্যারেন্ট থেকে শুরু, ফ্লাটলাইন থেকে শুরু। তো আমি মনে করি বাজুস আমি ফ্লাটলাইন থেকে শুরু করেছি। আই উইল গো স্টেপ বাই স্টেপ নাউ। একটা একটা করে ফ্লোর বানিয়ে যাব। এটাই আমার অনুপ্রেরণা, এটাই আমার উৎসাহ, এটাই আমার চিন্তা, এটাই আমার ধারণা এবং আমি এটাই করব। এই কাজ করার জন্য যা যা করার দরকার, যে যে জায়গায় যাওয়া দরকার, আমি তাই করব। এই শিল্প নিয়ে শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়াতেই নিয়ে যাব আমি। সবার কাছে বলব বাংলাদেশে আসুন। ’

বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর আরো বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ, আপনি বাংলাদেশ। বিশ্ববাজারে আমরা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, এ জন্য নিজেদের গর্ববোধ করা উচিত। এখন সব জায়গায় কোনো কিছু কিনতে গেলে মেড ইন চায়না দেখা যায়। এখন কিন্তু জায়গায় জায়গায় মেড ইন বাংলাদেশও দেখা যায়। আর কিছু না হলেও বাংলাদেশি পোশাক পণ্য দেখা যায়। আমি চাই আগামী দিনে বাংলাদেশি জুয়েলারি খাতের নামও বিশ্বের বুকে থাকুক। এটা আমাদের সোনার বাংলাদেশ, সোনা দিয়েই ভরতে হবে। তামা দিয়ে হবে না। আমরা তামা-সিলভার না। আমরা সোনার বাংলাদেশ। আমার যে জুয়েলারি কারখানা হচ্ছে, সেখানে প্রায় ১২ হাজার ভরি উৎপাদন করব। প্রাথমিকভাবে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করবে। আমি পাঁচ বছরের যে রোডম্যাপ করেছি, সেখানে প্রায় ৩০ হাজার ভরি পর্যন্ত গহনা তৈরি করব। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক আমার কারখানায় কাজ করবে। আমার মতো যদি আরো ১০ জন উদ্যোক্তা আসে, এই জুয়েলারি শিল্প বাংলাদেশকে উজ্জল করবে। ধীরে ধীরে এই শিল্প অন্য শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে। ’

Check Also

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি জাবেদ আহমদ এর উদ্যোগে সিলেটে ২লক্ষ টাকার টিন বিতরণ

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি ও সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রবাসী সদস্য জাবেদ আহমদ এর উদ্যোগে সিলেট নগরীর ৩৯নং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x