বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এদিকে লঘুচাপের কারণে আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে গত শুক্রবার বিকেল থেকে উপকূলের কোথাও কোথাও থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। তাই উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আর তাই শনিবার পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে গভীর সমুদ্রে যাওয়া অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার ইতোমধ্যে মহিপুর ও আলীপুরের শিববাড়িয়া নদীতে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গভীর সাগর থেকে তীরে ফিরতে শুরু করেছে মাছধরা ট্রলার। মহিপুর ও আলীপুরের অধিকাংশ ট্রলার ঘাটে এসে পৌঁছেছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। এছাড়া উপকূলের নদ-নদীর পানির উচ্চতাও বাড়তে পারে।