পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গত ২৬ তারিখ প্রেসক্লাবে কলামিস্টদের একটি অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি ৭০টি গণমাধ্যম তা নিয়ে যে হেডলাইন করেছে, তার সঙ্গে আমার বক্তব্যের কোনো ধরনের সম্পর্ক নাই। সেখানে আমি নাকি আমেরিকাকে যুদ্ধবাজ বলেছি। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমই মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়েছে।
তিনি শনিবার দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডর্স (এওফা) এর সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। এদের পরিপক্বতা দরকার। সাংবাদিকরা যারা এটা করেছেন তাদের জন্য এটা লজ্জার বিষয়। আর আপনাদের জন্য দুঃখের বিষয়। আপনাদের সহকর্মীরা এ ধরনের বানোয়াট কথা বলে।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা হয় বাংলা বোঝেন না অথবা ইচ্ছা করে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা করেছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে। মিথ্যা প্রচারণার ফলে যেটা অসুবিধা হয়েছে, তা হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা তাদের শত্রু। সরকারকে শত্রু বানানোর জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ জন্য সাংবাদিকদের গবেষণা করা উচিত। যা হোক এটা দুঃখের বিষয়।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে সাবেক রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডর্স (এওফা) এর প্রেসিডেন্ট শমসের মবিন চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সি আতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল উপস্থিত ছিলেন।