প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবৈধভাবে পণ্য মজুদের জন্য প্রতি রোজায় অস্বাভাবিকভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের সময়ে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পূরণ করব, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধ মজুতের কারণে রমজান উপলক্ষে পণ্যমূল্য অদ্ভুতভাবে বেড়ে গেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাজেট প্রণয়নের সময় অবশ্যই নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়গুলো প্রাধান্য দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, জনকল্যাণ মাথায় রেখে যথাযথ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স থাকবে। রফতানি বহুমুখীকরণে সব দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি।
মাদক সমস্যা নিরসনে সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইদানীং ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডগুলো দুর্ঘটনা। কিন্তু রাজনীতি ও নির্বাচন ঠেকানোর নামে জীবন্ত মানুষকে কী করে পুড়িয়ে মারতে পারে? নির্বাচন ঠেকানো মানেই বিএনপির কাছে অগ্নিসন্ত্রাস আর জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা। এই তো তাদের রাজনীতি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দল ও তার জোট অংশগ্রহণ করেনি। অন্যসব দল অংশ গ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। অনেক প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছে। মোট প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৭০ জন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৪৭০ জন ছিলেন। এই নির্বাচনে লক্ষণীয় হলো, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নারী ও প্রথম ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শপথ গ্রহণ করি ১০ জানুয়ারি। এটা আমাদের জন্য পবিত্র দিন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া জনগণকেও জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী পাঁচ বছর মেয়াদে রয়েছে এই সরকার। নির্বাচনের সময়ে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পূরণ করব, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।