খর্বাকৃতির গরু ‘ঝন্টু’ উৎসুক জনতার নজর কেড়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে এঁড়েবাছুরটি এক নজরে দেখতে বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন অনেকে। বাড়ির ছোট-বড় সবাই আদর করে নাম রেখেছে ঝন্টু। গরুটি স্বাভাবিক গরুর মতই খাওয়া-দাওয়া করে। কিন্তু এর উচ্চতা, লম্বা এমনকি ওজনে বৃদ্ধি পায়নি। ইতোমধ্যে বাছুরটি কিনতে চাচ্ছেন অনেকেই। এর দাম হাঁকানো হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
গত রোজার ঈদের পরদিন যশোরের মণিরামপুরের খামারবাড়ি গ্রামের সরোয়ারের একটি গাভী এই এঁড়েবাছুরটি জন্ম দেয়। জন্মের সময় বাছুরটি স্বাভাবিকের তুলনায় আরও ছোট ছিল। প্রায় ৬ মাস বয়স হলেও ঝন্টুর উচ্চতা মাত্র ১৭ ইঞ্চি এবং লম্বা ৩১ ইঞ্চি। তবে ওজনে আনুমানিক ২০ কেজি হবে।
সরোয়ার হোসেন জানান, তার বাড়িতে তিনটি গাভী রয়েছে। স্থানীয় একজনের কাছ থেকে তিনটি গাভীর বীজ দেয়া হয়। এরমধ্যে দুইটি গাভী স্বাভাবিক বাচ্চার জন্ম দিলেও একটা গাভী খর্বাকৃতির বাছুরের জন্ম দেয়। দুই দিন আগে পাবনা জেলা থেকে কয়েকজন লোক বাড়িতে আসেন। তারা বাছুরটি কিনতে চান। তাদের কাছে সরোয়ার বাছুরটির দাম চান ৫ লাখ টাকা। কিন্তু তারা দেড় লাখ টাকা দিতে চাইলেও সরোয়ার বিক্রি করেননি।
গাভীর বীজ বিক্রয়কারী সাইফুল কবীর জানান, তিনি এডিএল (আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড) কোম্পানির সিমেন (বীজ) বিক্রি করেন। সরোয়ারের তিন গাভীর জন্য এই সিমেন দেয়া হলেও একটি বামন (খর্বাকৃতির) এঁড়েবাছুর জন্ম নেয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পার্থ প্রতিম রায় জানান, জেনেটিক্যাল কারণে এমনটি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গিনেজ রেকর্ডে ভারতের কেরালার ‘মানিক্যান’ গরুর উচ্চতা ছিল ২৪ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল ৪০ কেজি। পরে বাংলাদেশের আশুলিয়ার একটি ফার্মে রাণী নামের গরুটি গিনেজ রেকর্ডে স্থান পায়। এই গরুটির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল ২৬ কেজি। যে কারণে ঝন্টু নামের এই গরুটি গিনেজ রেকর্ডে স্থান পেতে পারে অনেকেই ধারণা করছেন।