মালয়েশিয়া থেকে ফিরে নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন নেজাম উদ্দিন। বাড়ির কাজও শেষের পথে। নতুন বাড়িতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিবারসহ। কিন্তু নতুন ঘরে ঘুমানোর সেই স্বপ্ন কেড়ে নিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বসতঘরে গাস পড়ে মারা গেলেন তিনজনই।
জানা গেছে, প্রবল ঝড়ের মধ্যে স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী ও পাঁচ বছরের শিশুসন্তান নুসরাত আক্তার লিজাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এ সময় ঘরের পাশে থাকা বিশাল আকৃতির এক গাছ উপড়ে তাদের বুকের ওপর পড়ে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হেসাখালের খামারপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নেজাম উদ্দিনের ভাই জামাল উদ্দিন জানান, মাত্র এক মাস আগেই মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন নেজাম উদ্দিন। স্ত্রী-কন্যাকে নতুন ঘরে তুলে দিয়ে আগামী মাসেই আবার কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। সোমবার রাতে ঝড় শুরু হওয়ায় নাজিম দ্রুত বাড়ি ফিরে স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। আচমকা ঘরের পাশের বিশাল গাছটি উপড়ে পড়ে চাপা দেয় ঘরটিকে। এতে তারা তিনজনই মারা যান।
এ বিষয়ে হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে মৃত্যুর শিকার পরিবারটির প্রতি সমবেদনা জানানো ছাড়া কিছুই করার নেই। ঝড়ে তিনজনের মৃত্যু ছাড়াও সিত্রাংয়ের প্রভাবে নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি।
এদিকে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম বইছে। নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিবেশ। নেজামের মৃত্যুর খবরে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
Tweet
Share