শুভ চক্রবর্ত্তী, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রাম বাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় শীতল মিয়া (৬০) নামে একজন বৃদ্ধ নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা একাধিক বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে। স্বর্ণালংকারসহ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে নবীনগর থানা পুলিশ।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর ধরাভাঙ্গা রোডে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকআপ থেকে জিপি নামে চাঁদা উত্তোলন কে কেন্দ্র করে মুক্তারামপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সাথে ধরাভাঙ্গা গ্রামের সলিমগঞ্জ বাজারের লাইনম্যান রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই সূত্র ধরে শনিবার সকালে ধরাভাঙ্গা গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক ও খোকনকে মারধর করে। মারধরের খবর ধরাভাঙ্গা গ্রামের ছড়িয়ে পড়লে ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তারামপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত কানু মিয়ার ছেলে শীতল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা মুক্তারামপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। সংঘর্ষে দুই গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ খবর লেখা পর্যন্ত নবীনগর থানায় সংঘর্ষের কোনো মামলা বা কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।