শুভ চক্রবর্ত্তী, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে ভাঙচুর ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধোরের ঘটনার তিন দিন পর রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। হামলার ঘটনায় পাঁচ লাখ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুস।
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আবদুল কুদ্দুস শুক্রবারে চারজনকে আসামি উল্লেখ করে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। শনিবার রাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।
এ দিকে গত শনিবার বিকেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুস উপজেলা সদরের সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আবুল হোসেন ও তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর করেছে এবং আমার পরিবারের লোকজনকেও মারধোর করেছে। এই হামলার ঘটনায় আমার ৫ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চাকরী করার সুবাদে গ্রামে না থাকায় আমার ৫০ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২০ শতাংশ জায়গা উক্ত ব্যক্তিরা জবরদখল করে রেখেছিল। উক্ত সম্পত্তি ফিরে পেতে আমি দীর্ঘ ১০ বছর আদালতে মামলা চালিয়ে আমার পক্ষে রায় পেয়েছি। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তৎকালীন সহকারি কমিশনার(ভূমি) মোশাররফ হোসাইন উক্ত সম্পত্তির দখল আমাকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ওই প্রতিপক্ষরার থেমে থাকেনি আমার পরিবার সহ আমকে উচ্ছেদের জন্য প্রায়ই নানা কৌশলে অত্যাচারসহ হামলা চালাতো সর্বশেষ গত ২০ জুলাই বাড়ির নির্মান কাজ করার সময় এ হামলা চালায়। এই ঘটনার প্রতিকারে আমি শুক্রবারেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুসের লিখিত অভিযোগটি শনিবার রাতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছি। প্রধান আসামির ছেলে মেরাজুলকে রোববার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
তবে মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেন বলেন, যে বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে, সেই বাড়ির জায়গার মালিক আমি। ওই জমির মালিকানা নিয়ে মামলা চলছে। আবদুল কুদ্দুস সেই জায়গায় জোর করে রাতের আঁধারে দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করেছিল। তাই, আমি সেগুলো ভেঙে দিয়েছি।