ঢাকায় একাধিক নারী বিক্রি প্রতারক চক্র ছদ্মবেশে সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। তার মধ্যে এই সিন্ডিকেটের রয়েছে বিশ্বস্ত সোর্স। তাদের মূল টার্গেট কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও যুবতী নারীরা । প্রথমে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেকে নারীদের সোস্যাল মিডিয়া থেকে টার্গেট করে, পরে দেখা করা নামে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে/ গেস্ট হাউজে নিয়ে খাবারের সাথে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে তাদের অজ্ঞান করে। প্রথমে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মুল্যবান মালামাল নিয়ে যায়৷ পরবর্তীতে গেস্ট হাউজে থাকা ক্লাইন্টদের কাছে ১০-২৫ হাজার টাকায় মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া হয় । এরপর অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়। এই বিষয়ে মুখ বন্ধ করার জন্য ভুক্তভগী নাড়ীদের ভিডিও এবং ছবি ধারন করে ব্ল্যাক মেইল করা হয়।
এমন এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলে জানা যায় , খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক দিয়ে প্রথমে অচেতন করে, তারপর বিভিন্ন মানুষের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে। ছবি ভিডিও ধারন করে অর্থকড়ি-স্বর্ণ-গহনা নিয়ে যায় এই চক্রের সদস্যরা।
সোস্যাল মিডিয়াতে অপরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ করার আগে তার বিষয়ে তথ্য যাচাই বা ক্রিমিনাল রেকর্ড চেক করার পরামর্শ দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। নাগরিকরা সমাজ থেকে সচেতন না হলে আরও বহু নারীকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে পারে ধারণা তাদের।
এসব প্রতারকরা ছদ্মবেশে থাকে । নাম পরিচয় পরিবর্তন করে যোগাযোগ রক্ষা করে। গোপন তথ্যর মাধ্যমে জানা যায়, বর্তমানে পুরান ঢাকা থেকে শুরু করে ধানমণ্ডি ও গুলশানের বিভিন্ন গেস্ট হাউজে তাদের এই অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিজানে বেশ কয়েক জনকে ধরা গেলেও নারী বিক্রির মূল হোতা আফিফুর রহমান এখনো পলাতক।