নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ প্রতিযোগিতায় ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ প্রজেক্ট হিসেবে এ বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম ডায়মন্ডস’। বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে সরাসরি সারা বিশ্বে এটি প্রচারিত হয়।
টিম ডায়মন্ডস এর সদস্যবৃন্দঃ
টিসা খন্দকার ( টিম লিডার )
মুনিম আহমেদ ( ইউএক্স ডিজাইনার )
ইঞ্জামামুল হক সনেট ( সিস্টেম আর্কিটেক্ট )
আবু নিয়াজ ( এন্ড্রয়েড ডেভেলপার )
জারিন চৌধুরী ( রিসার্চার )
এবং মেন্টর হিসেবে ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক খালেদ সোহেল।
বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২৮১৪ টিম অংশগ্রহণ করেছিল এবং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড জিতেছে এবং সেখানে পুরো টিম মেম্বারদের প্রত্যেককে থাকার জন্য এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য NASA (USA) থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে ।
টিম ডায়মন্ডস মুলত কাজ করেছে বাচ্চাদের নিয়ে যাতে তারা ছোট বেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে ভাবতে পারে, মহাকাশের অজানা সব তথ্য সম্পর্কে খুব সহজে জানতে পারে। মহাকাশে থাকা অজস্র নক্ষত্র, এদের পরিবর্তন সাধারণত খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না কারণ এই পরিবর্তনগুলি খুব ধীর বা চোখের জন্য খুব ক্ষীণ হয়। তাদের চ্যালেঞ্জের মুল বিষয়বস্তু ছিল নাক্ষত্রিক এই পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে মানুষকে শেখানোর তাদের বুঝতে সাহায্য করা যে রাতের আকাশ আসলে কতটা গতিশীল!
তাদের প্রজেক্ট “Diamond In The Sky” একটি ইন্টারেক্টিভ গেম ভিত্তিক স্পেস লার্নিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রদের পরিবর্তন (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন), এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।
এবং গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন প্রেডিক্ট করতে পারবে।উদ্দেশ্য ছিল মুলত বাচ্চাদের কে তারার ঝিকিমিকি, রাতের আকাশের ধীরগতি পরিবর্তন এবং কেন ঘটেছিল তা বোঝার সুযোগ দেওয়া।
তারা বলেছে- “তাদের বিশ্বাস যে তাদের অ্যাপটি মানুষকে ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের আজানাকে জানাতে এবং অদেখা কে দেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
টিম ডায়মন্ডস এর দলনেত্রী টিসা খন্দকার জানানঃ
“কিভাবে সবকিছু হয়ে গেলো এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট অনেক অনেক শুকরিয়া আজকে আমরা বিজয়ী হিসেবে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরেছি। একটা মানুষের কাছে নিজের দেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চাইতে গৌরবের হয়তো আর কিছুই হতে পারে না। আল্লাহ তা’য়ালার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা যে তিনি আমাদের সেই তৌফিক দান করেছেন।
আমাদের এ অর্জনের পিছনে সবটা জুরেই রয়েছেন আমাদের বাবা-মা। তাছাড়াও আমাদের সম্মানিত খালেদ সোহেল স্যারের মেন্টরিং, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ইন্সপিরেশন, বেসিসের তত্বাবধায়ন, এবং সর্বোপরি আমাদের টিম স্পিরিট আমাদের বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করেছে ৷ যা শুধু আমাদের নাসা স্পর্শের নয়, এক বিশাল স্বপ্নের জয়! ”