নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনে অনুষ্ঠানের জন্য একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার যা কিছু করার আমি তা করব।
রাজধানীর গুলশানে রোববার তার লেখা ‘এগিয়ে যাও বাংলাদেশ’ বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যা করণীয় তাই করবো।’
তিনি বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন . . . সকলে মুখে মুখে বলছি, নির্বাচন খুব ক্রুশিয়াল হবে, কিন্তু আমি মনে করি- কোনো ক্রুশিয়াল নয়।’
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে একটি সংবিধান আছে। কারো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।
তিনি আশা করেন যে, দেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) একদম তাদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা প্রয়োগ করে সংবিধানের আলোকে একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি একজন সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে আমার যেটুকু দায়িত্ব এই নিরপেক্ষতাটাকে বজায় রাখার জন্য, সমস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জন্য যতটুকু প্রয়োজন করবো।
তাকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মন্ডলী ও কার্যনির্বাহী কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও ধন্যবাদ জানান।
এদিন দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির লেখক নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিনকে হস্তান্তর করা হয়।
তার বই সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ঘটনাবহুল প্রবন্ধ সমৃদ্ধ বই ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত হয়েছে শৈশব থেকে শুরু করে পুরো জীবনের কথা; সংগ্রাম, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, জেল জীবন, কর্মজীবন, সংসার-জীবন, চিন্তাদর্শ তথা সবকিছুর পরিচয়।
২০৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহাসিক কিছু আলোকচিত্র যুক্ত করা হয়েছে।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, তার ব্যক্তিজীবন এবং সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনাবলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন কর্মকান্ড সেগুলোর একটা ব্যাপকভিত্তিক পরিচয় উঠে আসছে।
বইটি প্রকাশের জন্য আগামী প্রকাশনী ও গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও জ্ঞাপন করেন নতুন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, এ ছাড়াও বইটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গৃহীত নানা পদক্ষেপ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, করোনা সংকট মোকাবেলা, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিসহ বহুবিধ উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং রাষ্ট্রনেতা হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে লেখা সাতটি কলাম।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে তার শপথ নেয়ার কথা রয়েছে। সূত্র: বাসস