জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে বিক্ষোভকারীদের সেনা টহল দলের ওপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, রোববার সেনাবাহিনীর কার্যক্রমগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ইপিজেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভকে আলোচনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণসহ চারজন জাপানি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশকে সহযোগিতার লক্ষে বর্তমানে ৫৩৭টি থানায় সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগদান করছে, যা চলমান রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় লুটপাটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে এবং আটকদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কয়েকটি জায়গায় অপহরণের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরে পেতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিদেরকে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দিবা-রাত্রি যৌথ টহল পরিচালিত হয়, বিশেষ করে রাত্রিকালীন যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা সদস্যদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সর্বসাধারণকে সব প্রকার অপপ্রচার বন্ধ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।