ত্রিশ বছর আগে ব্রাজিলের নির্বাচনেও বাংলাদেশের মত অবস্থা ছিলো। ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভূয়া ভোটার, একজনের ভোট আরেকজন দেয়া, রক্তক্ষয় – সবই হতো। এরপর থেকে আমরা ইভিএম ব্যবহার করতে শুরু করলাম এবং এর ফলে নির্বাচনে সুষ্ঠু ধারা ফিরে এসেছে। এখন আমরা জানি যে, আমার ভোট আমিই দিতে পারবো এবং যে মার্কায় দিবো সেখানেই যাবে। আমাদের ইভিএম বহুবার অনেকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কেউ কোনো ত্রুটি বের করতে পারেনি। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের যৌথ উদ্যোগে ‘কূটনৈতিকদের দৃষ্টিতে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন ও ইভিএম ব্যবহার’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের মাননীয় রাষ্ট্রদূত পাউলো ফানার্ডো জিয়াস ফেরেস উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
অদ্য ১৫ অক্টোবর, শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ঢাকা বনানীস্থ হোটেল সেরিনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কালীন সরকার প্রশ্নে তিনি বলেন, এই ধারণাটি আমার কাছে বোধগম্য নয়। আমি আমার নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বলতে পারি না যে- আপনি নির্বাচনের সময় ক্ষমতা ছেড়ে দিন, নির্বাচনের পরে আবার আসবেন। এটা বললে সংবিধান অবমাননা করা হয়। বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে এটা প্রত্যাশা করছি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া। নির্বাচনের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পেরে ঢাকা নিযুক্ত ভূটানের রাষ্ট্রদূত ‘রিনচেন কুয়েন্টসিল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ভূটানের জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সকল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়। সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে- ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আহমেদ আবুল কালাম আজাদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আদালতের সাবেক বিচারক ড. মো: শাহ্জাহান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এড. আব্দুর নূর দুলাল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এড. আবুল হাশেম, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মজুমদার, ইএমএফ পরিচালক মনির হোসেন, তানবীরুল ইসলাম মহসিন, ইকবাল বাহার।