আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুই বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।
গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের জন্য জনগণের দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের সমর্থন কামনা করে বাংলাদেশ সরকার নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কি? আর জাতিসংঘ মহাসচিব কি সেই শাসনব্যবস্থাকে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করে প্রধান বিরোধী দলকে জেলে ঠেলে দিচ্ছেন?
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমি চিঠিটি দেখিনি। আমি কেবল বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের আশা সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে যা বলেছি, এখনও তাই বলবো। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক মিত্রদের সব ধরনের সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবে। জাতিসংঘ কি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে?
আরেকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, না। আমি বলতে চাইছি, নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠায় না।
সাংবাদিক আবার জানতে চান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে আমি আপনার সদয় মন্তব্য শুনতে চাই।
স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে… আমি অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করবো না। আমরা বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ নয়। এটি উপযুক্ত বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে।