আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ড ২৯৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি পাঠিয়েছে।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের স্বাক্ষরিত এ চিঠি ইসিতে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ড ২৯৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। দলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে জিএম কাদের তা অনুমোদন দিয়েছেন। এসব প্রার্থীকে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
এদিন বিকেলে ২৮৩টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানান জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, আমরা খেলে যাবো, লড়াই করে যাবো। সব প্রার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ২৮৩টি আসনে নির্বাচন করবে জাপা। আসন সমঝোতার সংখ্যার বিষয়ে রাতে জানাতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারের নেয়া পদক্ষেপেরও প্রশংসা করে চুন্ন বলেন, জাপা আস্থাশীল, সরকার নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করছে। নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দেবে বলে আমরা আশা করি। তিনি বলেন, সমঝোতা হয়েছে, তবে আসন সংখ্যার বিষয়ে রাতে জানাতে হবে। আমরা বলতে চাই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জোরদারভাবে যাবে।
তিনি আরও করেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ নেই। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। নির্বাচন অর্থবহ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কিছু কিছু আসন নিয়ে অন্যদলের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক থাকতে পারে। নির্বাচনে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী নিয়ে ভাবছে না জাপা।
এদিন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য ২৬টি এবং ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের জন্য ৬টি সংসদীয় আসন ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাপার সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
তফসিল অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবনে।