নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আপনারা নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। ভোট প্রদানে কারও হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না। কোনো বাধার সম্মুখীন হলে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করুন।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি এ আহ্বান জানান। তার এ ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
সিইসি বলেন, আমি আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা (ভোটাররা) আগামীকাল অনুষ্ঠেয় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন।
সিইসি তার ভাষণে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গমনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, ট্রাক ব্যতীত অন্য সব ধরনের যানবাহন উন্মুক্ত থাকবে। ভোট দিতে কোনো রকম বাধার সম্মুখীন হলে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। প্রিসাইডিং অফিসার যেকোনো মূল্যে যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বাধ্য। প্রিসাইডিং অফিসারকে সহায়তা করতে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটরা নিকটেই অবস্থান করবেন।
ভাষণে প্রার্থীদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাহসী, সৎ, দক্ষ ও অনুগত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নিজ নিজ অধিকার এবং স্বার্থ সুরক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা আপনাদেরকেই করতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোলিং এজেন্ট না থাকলে সম্ভাব্য ভোট কারচুপি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে।
নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাবিবুল আউয়াল বলেন, সৎ-নিরপেক্ষ ও অবিচল থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যথা হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের বিশ্বাস স্ব স্ব অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল আচরণ ও আবশ্যক আইনানুগ ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে। দেশে ও বহির্বিশ্বে ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। দেশের জনশাসনে জনগণের জনপ্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র সুসংহত হবে। সংসদ, সরকার ও সংবিধানের কাঙ্ক্ষিত ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকবে।
ভাষণে এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ আপামর জনগণের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানান সিইসি।