মোঃ মহিবুল ইসলাম, পাথরঘাটা প্রতিনিধিঃ
সিডর পরবর্তী সময়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বরগুনায় নৌপথে রোগী বহনের জন্য একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেয়। ১৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও অ্যাম্বুলেন্সটিতে একজন রোগীও চড়েনি। ফলে একদিকে সরকারের বিপুল অংকের টাকা ক্ষতিসাধন হচ্ছে। অন্যদিকে বছরের পর বছরের অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থেকে নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি অচল হয়ে পড়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় বরগুনা সূত্রে তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ২০০৮ সালে নৌপথে রোগী পরিবহনের জন্য বরগুনায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেয়। এতে ব্যয় হয় ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দীর্ঘদিন খাকদোন নদীর চরে ফেলে রাখায় অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতলের পুরনো ভবনের পূর্বপাশে পরিত্যক্ত স্থানে নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি ঠিকানা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেনারেল হাসপাতালের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছে নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি। শুধুমাত্র অবকাঠামো টিকে আছে। ভেতরের মেশিনাদি বা যন্ত্রপাতি কিছু নেই। শুন্যলতা আর আগাছায় ছেয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি।
অ্যাম্বুলেন্সটির চালক আবদুর রহমান বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এটিতে কোনো রোগী পরিবহন করিনি। বরগুনা থেকে বরিশাল যাওয়া আসায় জ্বালানিসহ ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। রোগীদের কেউ এর খরচ বহন করে আসতে চায় না। কারণ এর অর্ধেকেরও কম খরচে সড়ক পথে রোগী আনা-নেয়া করা যায়। সে কারণে এটি অচল হয়ে পড়ে আছে।
হাসপাতালের ভাণ্ডার সংরক্ষক জসীম উদ্দিন বলেন, নৌ অ্যাম্বুলেন্সের দুটো ইঞ্জিন ভালো অবস্থায়ই ভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে। এটির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে আছে। ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে এটি গ্রহণ করার পর থেকে একটিও ট্রিপ দেয়া হয়নি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব উদ্দিন বলেন, উপকূলীয় জেলা বিবেচনায় নৌপথে রোগীদের সেবায় নৌ অ্যম্বুলেন্সটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খরচের কারণে রোগীরা যাতায়ত না করায় অচল হয়ে পড়া নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে গেছে।