ফরিদপুর সদর উপজেলার শহর রক্ষা বাঁধের সিঅ্যান্ডবি ঘাট, ধোলার মোড়, মদনখালি, গদাধর ডাঙ্গী, ভাঙ্গা ও সাইনবোর্ড এলাকায় বালু উত্তোলন রোধে গঠিত তদন্ত কমিটি স্পটগুলো পরিদর্শন করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পদ্মা নদীর এই এলাকাগুলো তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল কমিটির সদস্যদের নিয়ে পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, পদ্মা পাড়ের এসব এলাকায় সংঘবদ্ধ চক্র নিয়মনীতি না মেনে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এ নিয়ে শহরবাসীসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে তারা পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের আশপাশে বালু উত্তোলন রোধে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল জানান, পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের আশপাশে বালু উত্তোলন রোধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে।
গত কয়েক মাস ধরে পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের আশপাশের অঞ্চল থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল বলুদস্যু চক্র। এসব বালু ভর্তি ট্রাক শহরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে, যা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মধ্যে রয়েছে।
উল্লেখ্য ,গত ৯ মার্চ একটি জাতীয় পত্রিকার ১ম পাতায় ‘১৭৬ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ বাঁচবে তো’ শিরনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।