Saturday , 20 April 2024
শিরোনাম

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে নতুন সম্ভাবনাময় দ্বার উন্মোচন করল বাংলাদেশ

মোঃ খায়রুল হাসান পলাশ:

বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতুর পুরো নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’।
সেতুটি নির্মাণের জন্য ৯১৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে।
এই সেতুর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড
সেতুর নকশা প্রণয়ন করেছে আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম AECOM।
এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার (২০,২০০০ ফুট)
এবং প্রস্থ ১৮ দশমিক ১০ মিটার (৫৯.৪ ফুট)।
সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর
সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করছে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেতুর নিকটতম সেনানিবাস হলো পদ্মা সেনানিবাস।
প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।
সেতু টি ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা ৯
এই সেতুটির ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং পিলার ৮১টি। মোট স্প্যান সংখ্যা ৪১।
এবং প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রতিটি স্পেনের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।
সেতুর স্থানাঙ্ক ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রি (উত্তর) এবং ৯০.২৬২৩ ডিগ্রি (পূর্ব)।
প্রয় পানির স্তর থেকে এই অত্যাধুনিক সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট এবং এর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।
সেতুর উপরের তলায় চার লেনের সড়ক এবং নিচতলায় থাকবে রেললাইন।
সেতুটির সংযোগ সড়ক হচ্ছে জাজিরা ও মাওয়া
এবং সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার।
এই সেতুর দুই পাড়ে নদী শাসন ১২ কিলোমিটার
মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে
এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯টি জেলার সঙ্গে সংযোগ ত্বরান্বিত হবে। এই নিয়ে আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু।

Check Also

ওমরাহ থেকে ফেরার সময় নির্ধারণ করে দিল সৌদি আরব

হজ শুরুর আগে যারা ওমরাহ পালন করতে গিয়েছেন তাদের ফিরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x