তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান বানচাল করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামাতসহ দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখতে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ বিকালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে জেলার সার্কিট হাউজে পৌঁছালে সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতুই নয়, আমাদের দেশ ও বঙ্গবন্ধুকন্যার সক্ষমতা, মর্যাদার প্রতীক। সেতু হওয়ায় সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও খুশি হতে পারেনি জামাত-বিএনপি ও মধ্যরাতের টিভির কিছু টক শো বিশেষজ্ঞ। সেকারণে সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামাত ও দেশবিরোধী অপশক্তি নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ট্রেনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। আমি দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানাই।’
কুসিক নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থী ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, পরাজিত প্রার্থীরাও তাই বলেছেন এবং নির্বাচনকালে কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি। তবে আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের প্রার্থী আরো বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করবে।’
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী অধিকাংশ কাউন্সিলরই আওয়ামী লীগের, মেয়র পদে জয়ে আরও বেশি ব্যবধান প্রত্যাশিত ছিলো।
ড. হাছান বলেন, ‘কারণ, সেখানে কাউন্সিলরদের ২৭টি পদের মধ্যে ২০টিতেই আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। আর মহিলা কাউন্সিলরদের ৯টি পদের ৭টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। যেখানে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের”জয়জয়কার, সেখানে মেয়র পদে আমাদের প্রার্থীর আরো অনেক বেশি ভোট পাওয়ার কথা ছিল।’
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ১৩ বছরে বাজেটের আকার ৭ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমেছে, অতি দারিদ্র্য কমে ১০ শতাংশে এসেছে। কিন্তু সিপিডি, টিআইবিসহ কিছু বুদ্ধিজীবী রয়েছে যারা কখনোই বাজেটের প্রশংসা করতে পারে না। বাজেট নিয়ে তাদের বুদ্ধি লোপ পায় কেন, বোধগম্য নয়।’
পরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: ওয়ারেছ আলী প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সামশীর সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি প্রধান অতিথি, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু উদ্বোধক, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি এবং কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও এড. সফুরা বেগম রুমি।