`পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মমর্যাদা এবং আত্মনির্ভরতার এক অনন্য সোপান। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ও বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আজ আর স্বপ্ন নয়। খরস্রোতা পদ্মার বুকে ৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্য নির্মিত সেতু আজ বাস্তবতা। এটা আমাদের অহংকার।’
শনিবার (১৮ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে এ কথা বলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সেমিনারটি আয়োজন করে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপ-কমিটি।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাণিজ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় সংযোগ, শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠা, কৃষি সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে পদ্মা সেতু।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ উপেক্ষা করে, বাধা-বিপত্তি জয় করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের বহুমাত্রিক ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পবিপ্লব ঘটবে জানিয়ে স্পিকার বলেন, সেখানে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। সেতুতে রেল যোগাযোগ চালু হলে ঢাকা থেকে কলকাতায় সংযোগ চালু হবে, যাতে বাড়বে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমরা জানি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বরিশালে ১০ ভাগ দরিদ্র বেশি। এটা কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে পদ্মা সেতু। যোগাযোগ উন্নয়নের ফলে সেখানকার কৃষকরা তাদের ফসলে বাজারমূল্য পাবে। এতে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে তাদের।