রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্য ও পলিথিন ব্যবহারে জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজসহ সকলকে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য ও পলিথিনের ব্যবহার যাতে হাওর এলাকার পর্যটনের পরিবেশ নষ্ট না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় চারদিনের সফরের অংশ হিসেবে আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি অস্টগ্রামে পেশাজীবী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সাথে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য বলেন, হাওরের উন্নয়ন নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে সেই ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
পরিবেশকে রক্ষা করে অর্থনীতি ও জীবন মানের কীভাবে উন্নয়ন করা যায় সেই লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা জনগণ ও ভোটারদেরকে প্রশ্ন করুন আপনাদের প্রতি তাদের কোনো অভিযোগ আছে কিনা।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন তাহলে জনগণ এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি হবে এবং দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
বিশ্বজুড়ে পরিবেশ-বিষয়ক চিন্তাধারায় টেকসই উন্নয়নের ধারণা শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করে হামিদ বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে যাতে উন্নয়ন না করা হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এর আগে বিকেলে রাষ্ট্রপতি হামিদ মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের ভাতশলা সেতু পরিদর্শন করেন।
এরপরে রাষ্ট্রপতি হামিদ মিঠামইন থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে মিঠামইন-অষ্টগ্রাম মহাসড়কের ‘আই লাভ অষ্টগ্রাম’ পয়েন্টে ‘পর্যটনে অষ্টগ্রাম’ এর শুভ উদ্বোধন করেন।
পরে অষ্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সেতু পরিদর্শন করেন।
সংসদ সদস্য মোঃ আফজাল হোসেন এবং রেজোয়ান আহম্মেদ তৌফিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির সচিবগণ ও ঊর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ আগামীকাল ইটনা উপজেলায় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করবেন এবং এর আগে ২৭৫-একর জমিতে নির্মানাধীন ‘মিঠামইন ক্যান্টনমেন্ট’ এর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।
রাষ্টপতির আগামী ২৫ আগস্ট ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।