পরিশ্রম ও ইতিবাচক মানসিকতায় ব্যতিক্রমী ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসাইন
আজকের এই অস্থির সময়ে যখন নেতৃত্বের মানদণ্ড দিনকে দিন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আর ছাত্র রাজনীতির কথা চিন্তা করলে ত বিষয়টা আরও জটিল হয়ে উঠে। তবে কিছু মানুষ ত থেকেই যায় রাজনীতিতে মূল্যবোধ, মানবিকতা সৃষ্টি করে আদর্শীক ভাবেই মানুষের কল্যানে কাজ করে।ঝিনাইদহের সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের তরুণ ছাত্রনেতা নাজমুল হোসাইন ঠিক তেমনই একজন।
যার ডাকে মুহূর্তেই ছুটে আসে হাজারো ছাত্রজনতা।
তিনি শহরের যে কোন ছাত্রের বিপদে
দ্রুত বেগে ছুটে যান সমস্যার সমাধান করতে। এমনকি ছাত্রদলের মূল আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শহর, গ্রাম এক করে ছুটে চলেছেন।
তিনি শুধু ছাত্রনেতা হিসাবেই নয় সমাজ উন্নয়নেও অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
নাজমুল হোসাইন
“ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা ব্লাড ফাউন্ডেশন” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এই সংগঠনটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ফ্রি ব্লাড ডোনেশন সহ সমাজে পিছিয়ে থাকা অসহায় দুস্থ মানুষের নানা রকম মানবিক সহায়তা করে আসছেন।
তিনি ২০২০ সালে করোনার সময়ও একজন ফ্রন্টলাইনার করোনা যোদ্ধা হিসাবে কাজ করেছেন।
২৪ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে বিভিন্ন সময় এসব আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে স্বীকার হয়েছেন নানা রকম হামলা, নির্যাতন, জুলুমের। তবে এত কিছুর পরও কখনো সত্য এবং আদর্শ থেকে পিছুপা হননি।
ইতিমধ্যেই তার এই মানবিক নেতৃত্ব শহরজুড়ে ছাত্রজনতা সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নজর কেড়েছে।
তরুণ এই ছাত্রনেতা স্বপ্ন দেখেন – একটি শিক্ষিত, ন্যায্য, মানবিক সমাজের। যেখানে নেতৃত্ব মানে হবে সেবা, আর সংগ্রাম মানে হবে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো। রাজনীতির নামে বিভাজন নয়, বরং ঐক্যের কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান জীবনে যত বাঁধা বিপত্তি আসুক না কেনো কখনো ছাত্রদলের আদর্শ থেকে পিছুপা হবোনা। আর মানুষের জন্য কাজ করার বিষয়টা আমার রক্তে মিশে আছে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।