২০২৪ সালের স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। সারজিস বলেন, ‘পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী রূপ বদলিয়ে অযৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নামছে। তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের আন্দোলনের পথ সঠিক নয়। ছাত্র জনতা আন্দোলন করেছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার পর।’
এর আগে বিকেলে পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর স্থগিত পরীক্ষাসমূহ বাতিল করা হলো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষা বাতিলে পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। হাসনাত সচিবালয়ে বলেন, ‘স্থগিত হওয়া পরীক্ষা বাতিলের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাকি বিষয়ের ফল দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসবে। মূল্যায়ন কিভাবে হবে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।’
এর আগে সকালে উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এইচএসসি ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা ২ সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাকি পরীক্ষাগুলো অর্ধেক প্রশ্ন উত্তরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অর্থাৎ আগে যদি একটি বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো সেখানে এখন একই সময়ে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে।
এ সিদ্ধান্তের পর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একটি দল পরীক্ষা বাতিলের এক দফা দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে তা-ও স্থগিত করা হয়।