ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে গরু,ছাগল ও ভ্যান বিতরণ

সাংবাদিক

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাঝাইল ইউনিয়নে বি‌ভিন্ন এলাকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে গরু, ছাগল, ভ্যান ও হুইল চেয়ার বিতরণ করেছে প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে কসবামাঝাইল লুৎফর রহমান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সংস্থার স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এস এম মতিউর রহমান। তিনি সুবিধাভোগীদের হাতে ভ্যানের চাবি, গরু ও ছাগল হস্তান্তর করেন এবং স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় ছয়জনকে ছয়টি ভ্যান, সাতজনকে দুইটি করে ছাগল, একজনকে একটি গরু এবং একজনকে একটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম মতিউর রহমান বলেন,“আমরা প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আজীবন সদস্যরা যে অনুদান দিয়ে থাকেন, তা থেকেই এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমরা প্রকৃত দরিদ্রদের হাতে গরু, ছাগল, কিংবা ভ্যান তুলে দিচ্ছি যেন তারা নিজেরা কিছু করে পরিবার নিয়ে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখেছি চার-পাঁচ বছর আগে যাদের একটি গরু বা দুটি ছাগল দিয়েছিলাম, আজ তাদের কাছে চারটি গরু বা আট-নয়টি ছাগল রয়েছে। অর্থাৎ তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন। একজন গরিব মানুষ যদি নিজের পরিশ্রমে উঠে দাঁড়াতে পারেন, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমরা চাই মানুষ কর্ম করে স্বাবলম্বী হোক। যেন দরিদ্রতা সারা জীবনের পরিচয় না হয়ে থাকে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সহ-সভাপতি মহিদুর রহমান হীরা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কেরামত আলী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা।

উক্ত অনুষ্ঠানটি এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং সহায়তা পাওয়া পরিবারগুলো তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংস্থার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার এমন কার্যক্রম সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে আশার আলো জাগাবে বলে মত দিয়েছেন উপস্থিত সকলে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
৫৬৫ Time View

পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে গরু,ছাগল ও ভ্যান বিতরণ

আপডেটের সময় : ০৩:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাঝাইল ইউনিয়নে বি‌ভিন্ন এলাকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে গরু, ছাগল, ভ্যান ও হুইল চেয়ার বিতরণ করেছে প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে কসবামাঝাইল লুৎফর রহমান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সংস্থার স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এস এম মতিউর রহমান। তিনি সুবিধাভোগীদের হাতে ভ্যানের চাবি, গরু ও ছাগল হস্তান্তর করেন এবং স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় ছয়জনকে ছয়টি ভ্যান, সাতজনকে দুইটি করে ছাগল, একজনকে একটি গরু এবং একজনকে একটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম মতিউর রহমান বলেন,“আমরা প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আজীবন সদস্যরা যে অনুদান দিয়ে থাকেন, তা থেকেই এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমরা প্রকৃত দরিদ্রদের হাতে গরু, ছাগল, কিংবা ভ্যান তুলে দিচ্ছি যেন তারা নিজেরা কিছু করে পরিবার নিয়ে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখেছি চার-পাঁচ বছর আগে যাদের একটি গরু বা দুটি ছাগল দিয়েছিলাম, আজ তাদের কাছে চারটি গরু বা আট-নয়টি ছাগল রয়েছে। অর্থাৎ তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন। একজন গরিব মানুষ যদি নিজের পরিশ্রমে উঠে দাঁড়াতে পারেন, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমরা চাই মানুষ কর্ম করে স্বাবলম্বী হোক। যেন দরিদ্রতা সারা জীবনের পরিচয় না হয়ে থাকে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সহ-সভাপতি মহিদুর রহমান হীরা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কেরামত আলী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা।

উক্ত অনুষ্ঠানটি এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং সহায়তা পাওয়া পরিবারগুলো তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংস্থার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার এমন কার্যক্রম সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে আশার আলো জাগাবে বলে মত দিয়েছেন উপস্থিত সকলে।