মোঃ মহিবুল ইসলাম, পাথরঘাটা প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বাদুরতলা গ্রামে মৃত আফসের আলী ফকিরের ৬৬ শতাংশ জমি প্রতিপক্ষরা দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রতিপক্ষ আশরাফ আলী খলিফা ও ইলিয়াস হোসেনসহ অন্তত ১০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই জমি রাতের আঁধারে দখল করার অভিযোগ ওঠেছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি স্থানীয় পর্যায়ের সালিশ বৈঠক হলেও জমির দখল ছাড়তে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন প্রতিপক্ষরা। ওই চাঁদা পরিশোধ না করায় জমির দখল ছাড়ছেন না প্রতিপক্ষরা।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটার বাদুরতলা গ্রামে মৃত আফসের আলী ফকির ও তার ওয়ারিশগনের বিএস ৯০৬, ৭০৬, ১০২৭ ও ৮৩৫ নম্বর খতিয়ানের ৪০১, ৪০৩, ৪১৬, ৪২২, ৪২৮, ৬৫২, ৪০৪, ৪২৭, ৪২৯ নম্বর (সাবেক ৭৭ নম্বর খতিয়ানের ৪২৩ দাগ) দাগের ৯ একর ৫০ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমির মধ্যে ৬৬ শতাংশ জমি খাস দাবি করে আশরাফ আলী খলিফা, ইলিয়াস হোসেন, মোহাম্মদ হাছান ও রাসেলসহ অন্তত ১০ জনে রাতের আঁধারে ওই জমি দখল করেন।
এ সময় ওই রাতেই এ জমিতে দুটি টংঘর তুলেন। প্রকৃতপক্ষে ওই জমির রেকর্ডীয় মালিক মৃত আফসার আলী ফকির ও তার ওয়ারিশগণ। তবে আশরাফ আলী খলিফা ও তার ওয়ারিশগন খাস জমি দাবি করে সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে ওই জমি দখল করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও আশরাফ আলী খলিফা ও ইলিয়াস হোসেনসহ ওই দখলদাররা অবৈধ ভাবে জমি দখল করে রেখেছেন।
ওই জমির ওয়ারিশ নুরুল ইসলাম, সাত্তার মোল্লা ও ইসমাইল হাওলাদার বলেন, আমাদের দাদা ও নানা আফসার আলী ফকিরের নামে রেকর্ডিং জমির দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করছি। হঠাৎ গত ২৫ মে রাতের আধারে টং ঘর নির্মাণ করে আমাদের ওই জমির ৬৬ শতাংশ দখল করে নেন।
ওই দখলের পরে দিন আমাদের কাছে দখল ছাড়তে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আশরাফ আলী, ইলিয়াস ও মোহাম্মদ হাসান। তাদের দাবির ওই ছয় লাখ টাকা পরিশোধ না করায় আমরা জমি ভোগ দখলের যেতে পারছিনা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আশরাফ আলী খলিফার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম বলেন ওই জমি খাস তাই আমরা ঘর তুলেছি। আফসের গ়ংদের যদি ওই জমি হয়ে থাকে তবে তারা আদালতে মামলা করুক। মামলায় তারা জমি ফেরত পেলে আমরা ছেড়ে দেবো।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বাদুরতলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাকিল আহমেদ শিবু বলেন, আশরাফ আলী খলিফা, ইলিয়াস হোসেন, মোহাম্মদ হাছান ও রাসেলসহ বেশ কয়েকজনে রাতের আঁধারে ওই জমি দখল করে দুটি টং ঘর তুলেছেন।
প্রকৃতপক্ষে ওই জমির রেকর্ডীয় মালিক মৃত আফসের আলী ফকির ও তার ওয়ারিশগণ। তবে আশরাফ আলী খলিফা ও তার ওয়ারিশগন সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে ওই জমি দখলে নিয়েছেন। অপরদিকে আশরাফ আলী খলিফা গংয়ের দাবি ওই জমি খাস তাই তারা দখলে নিয়ে ঘর তুলেছে। তা সম্পূর্ণ বানোয়াট।