মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় ছেলে নেপাল চন্দ্র শীলকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র শীলের (৭০) মাথায় টেবিলের পয়া দিয়ে পিটিয়ে হত্যার আভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছেলে নেপালকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ৯ টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাতেমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত্যু নিরঞ্জন চন্দ্র শীল একই এলাকার গোপাল চন্দ্র শীলের ছেলে। নিহত নিরঞ্জন শীলের স্ত্রী রাধারানী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহের জন্য পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল তাদের ছেলে নেপাল। কিন্তু ছেলে কর্মঠ না হওয়ায় কেউ তাদের ছেলের সাথে মেয়ে দিতে চায়না। নেপালের ফুফু বিউটি তাকে বিবাহ করিয়ে দিবে এমন আশ্বাসে বাবার থেকে জমি লিখিয়ে নিতে বলে।
নেপালের ফুফুর কথামত বিভিন্ন সময়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া হতো। এ সূত্রধরে মঙ্গলবার সকালে একই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যয়ে নেপাল তার বাবানিরঞ্জন চন্দ্র শীলের মাথায় টেবিলের পায়া দিয়ে সজোরে আঘাত করে। সাথে সাথে তার বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তিনি পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিযে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান, আঘাত গুরুতর হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
পরে পথের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এবিষয়ে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত নিরঞ্জন চন্দ্র শীলের মেয়ে হাসি থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে নেপাল চন্দ্র শীলকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তিনি আরো জানান, লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হবে।