মোঃ মহিবুল ইসলাম, পাথরঘাটা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আশ্রাফ আলী মুন্সী’র বিরুদ্ধে- বানোয়াট প্রত্যায়ন দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জাকির বেপারী।
৩১ জুলাই (রবিবার) রায়হানপুর ১নং ওয়ার্ড শতকর বেতমোর এলাকার বাসিন্দ মোঃ জাকির বেপারী (৫০) তারই ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আশ্রাফ আলী মুন্সী’র বিরুদ্ধে- এমন অভিযোগ তুলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন যে, আদালতে চলমান একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে শতকর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমার কোন দোকান নাই মর্মে আমার বিরোধী পক্ষের লোকজনের সাথে যোগসাজশ করে একটি মিথ্যা বানোয়াট প্রত্যায়ন লিপিবদ্ধ করেন, আসলে এখানে আমার কোন দোকান ছিলো কি না অথবা বর্তমানে আছে কি না তা আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, গত ৭/১২/২০২১ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১৪৯ ক্রমিক নং এর একটি ট্রেড লাইসেন্স উত্তলোন করি। তার বক্তব্য অনুযায়ী গণমাধ্যম কর্মীরা এলাকায় স্থানীয় বয়স্ক এবং যুবকদের কাছে জানতে চাইলে উপস্থিত সকলে বলেন যে, এই তো এটাই জাকিরের দোকান এটা প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর পূর্বেই এখানে ছিলো, আসলে জাকিরের বিরুদ্ধে- আমাদের মেম্বার সাহেব যা বলেছেন তার কোন ভিত্তি নাই তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার সাহেবকে ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে সে বলেন আমি বলেছি তার শতকর বাসস্ট্যান্ডে কোন দোকান নাই, কিন্ত তার লেখা প্রত্যায়নে স্পষ্ট লেখা আছে শতকর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাকির বেপারীর কোন দোকান নাই, সে বিভিন্ন কথা বলে এরিয়ে গিয়ে ফোন কেটে দেয়।
জাকির বেপারী আরো জানান যে, বিগত বছরে স্থানীয় জামাল হোসেন ( নান্টু) এর সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ থাকলে তা গত ৯/৯/২০২১ তারিখে আমাদের মেম্বার সাহেবের উপস্থিতি ও নিজ সাক্ষরিতে মেম্বার সাহেব সহ আরো ৬ জনের সাক্ষরিত আপোষ বন্টন নামায় এস.এ খতিয়ান নং ২২৪,২২৫ দাগ নং ৮০৪ এর বিশ্বরোডের পশ্চিম পার্শ্বের ৭২ ফুটের মধ্যে হইতে মোঃ জাকির বেপারীকে ৫ ফুট ভোগ দখল করার রায় দেন, সেই জমিতে গত ৪/৫/২০২২ তারিখে কাজ করতে গেলে মোঃ জামাল হোসেন নান্টু বাঁধা প্রধান করেন এবং আমাদেরকে মারধর করেন আবার তারাই মোসাঃ সেলিনা বেগম (৪১) স্বামী জামাল হোসেন নান্টু বাদী হয়ে আমি জাকির বেপারী ও আমার ছেলে মাইনুদ্দিন কে আসামি করে ধরা ৩২৩/৩৭৯/৩৫৪/৫০৬, মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত. পাথরঘাটা -০৪ এ মামলা দায়ের করেন।
তারা আমাকে আঘাত করে আমার মাথার একাংশ ফেটে গেলে আমি বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসা নি এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরাও মামলা করি সেই মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের মেম্বার সাহেব তাদেরকে একটি বানোয়াট প্রত্যায়ন দেন, মুলত মেম্বার সাহেব আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চায় সেই টাকা দিতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে তার এই যোগসাজশ শুরু হয়। এদিকে জাকির বেপারী জানান যে, রবিবার আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে লেমুয়া বাজারে মেম্বার আশ্রাফ আলী মুন্সী আমাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে, সে বলে যে, সাংবাদিক ডাকলি কেন! তারা আমার কি করবে! তোকে আমি দেখিয়ে দেবো দেখি তুই আমাকে কি করতে পারো ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায় ধমক দেয়।