প্রার্থনা সভা, গঙ্গা স্নান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে পাবনায় সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৫তম আবির্ভাব দিবস পালিত হয়েছে।
সৎসঙ্গ বাংলাদেশের আয়োজনে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হিমাইতপুর বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শুভ জন্মলগ্ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব আয়োজন।
এ সময় প্রার্থনা সভায় বক্তব্য রাখেন সৎসঙ্গের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. সুব্রত রায়, সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সহ সম্পাদক সুব্রত আদিত্য, সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল মজুমদার। জন্মোৎসবের আয়োজনে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার অনূকুল ভক্ত অংশ নেন।
পরে, পদ্মা নদীর সম্বলপুর ঘাটে গঙ্গাস্নান শেষে শহরের পাথরতলা ঠাকুরবাড়ীতে বেদমাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা। জন্মোৎসব উপলক্ষে পাবনা মানসিক হাসপাতালে উন্নত খাবার বিতরণ, সাধারণের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।
সৎসঙ্গ বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল মজুমদার বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর পাবনায় বড় পরিসরে ঠাকুরের জন্মোৎসব আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ বছর তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভক্তের আগমন ঘটেছে। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্মস্থান হিমাইতপুর ঠাকুর ভক্তদের নিকট পরম তীর্থভূমি। আমরা এখানে শ্রী মন্দির ও ঠাকুরের স্বপ্নের বিশ্ব বিজ্ঞান কেন্দ্র গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে সৎসঙ্গ বাংলাদেশ।
১৩৫ বছর আগে মহাপুরুষ শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র পাবনার হিমাইতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি বড় হন। তিনি সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার বাণী দিয়ে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের মন জয় করেন। তাই এ মহাপুরুষের জন্মদিনকে ভক্তরা প্রতি বছর আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করেন।