ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

পিসিসিপি বান্দরবান কর্তৃক এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ

সাংবাদিক

মুহাম্মদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যোগে এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। একসঙ্গেই শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়ছে।

২৩ জুন সোমবার বিকালে বান্দরবান মুসাফির পার্ক সংলগ্ন সাঙ্গু বিলাস ছাত্রাবাস মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. শাহজালাল।

আরও উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি বান্দরবান জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হোসেন ইমন, দপ্তর সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন, বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজ সভাপতি রুমি সেন, সদর উপজেলা সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, পাহাড়ে সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার বাঙালি জনগোষ্ঠী। অথচ তারাও অন্য সবার মতো পাহাড়ের দুর্গম ও বিরূপ পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন। কিন্তু বাঙালিদের কোন কোটা নেই। ফলে শিক্ষা, চাকরি, আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদায় চরমভাবে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। যার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংখ্যার অর্ধেক হয়েও অবহেলিত, প্রান্তিক ও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হচ্ছেন বাঙালি জনগোষ্ঠী।

এদিকে বাঙালি ছাড়া অন্যসব জাতির জন্য শতকরা পাঁচ ভাগ কোটা সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে উপজাতি কোটা রয়েছে। কোটা সুবিধা ও অন্যান্য সাংবিধানিক সম-অধিকার না পাওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ২৩ ভাগ।

বক্তরা বলেন এতে শুধু সম্প্রদায় ও জাতিগত বৈষম্যই হচ্ছে না, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিককে যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করে দেশ ও জাতি গঠনের কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

আলোচনা সভা শেষে শতাধিক এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
৫৬২ Time View

পিসিসিপি বান্দরবান কর্তৃক এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ

আপডেটের সময় : ০৩:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

মুহাম্মদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যোগে এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। একসঙ্গেই শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়ছে।

২৩ জুন সোমবার বিকালে বান্দরবান মুসাফির পার্ক সংলগ্ন সাঙ্গু বিলাস ছাত্রাবাস মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. শাহজালাল।

আরও উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি বান্দরবান জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হোসেন ইমন, দপ্তর সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন, বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজ সভাপতি রুমি সেন, সদর উপজেলা সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, পাহাড়ে সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার বাঙালি জনগোষ্ঠী। অথচ তারাও অন্য সবার মতো পাহাড়ের দুর্গম ও বিরূপ পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন। কিন্তু বাঙালিদের কোন কোটা নেই। ফলে শিক্ষা, চাকরি, আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদায় চরমভাবে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। যার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংখ্যার অর্ধেক হয়েও অবহেলিত, প্রান্তিক ও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হচ্ছেন বাঙালি জনগোষ্ঠী।

এদিকে বাঙালি ছাড়া অন্যসব জাতির জন্য শতকরা পাঁচ ভাগ কোটা সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে উপজাতি কোটা রয়েছে। কোটা সুবিধা ও অন্যান্য সাংবিধানিক সম-অধিকার না পাওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ২৩ ভাগ।

বক্তরা বলেন এতে শুধু সম্প্রদায় ও জাতিগত বৈষম্যই হচ্ছে না, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিককে যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করে দেশ ও জাতি গঠনের কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

আলোচনা সভা শেষে শতাধিক এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।