বাংলা৫২নিউজ প্রতিবেদন।। পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবে রকমারি পিঠা তৈরি ও বিপণন করা হয়।
রোববার সকালে চকবাজারের শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ প্রাঙ্গণে ওই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।দিনব্যাপী পিঠা উৎসবে সুন্দরী কদমপুলি, ঘুড় ঘুরপাক পুলি, লোঠানি পিঠা, শাহী ভাপা পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, জামাই আদর পিঠা, পান্তুয়া, চুই পিঠা, ঝাল মোরগ সাংসা, ভাপা, চিতই, পুলি, নকশীসহ থাকে নানান স্বাদের পিঠা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শহরের যান্ত্রিক জীবন আর ব্যস্ততার ভিড়ে পিঠা তৈরি করে খাওয়ার প্রচলনটা এখন আর নেই বললেই চলে।
একারণে শেখ বোরহানুদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকাবাসী সমবেত হয়েছে। সবার পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা অঙ্গন। শহরের মানুষেরা যাতে পিঠার স্বাদ ভুলতে না পারে সেজন্য শেখ বোরহানুদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজে ১ দিনের আয়োজন করেছে পিঠা উৎসব।
শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম । হিম হিম শীতের সকালে ধোঁয়া ওঠা গরম পিঠার কথা মনে হলেই জিভে জল চলে আসে। স্বাদ নেয়ার এটাই যেন উপযুক্ত সময়।
সরজমিনে দেখা গেছে, রকমারি পিঠা উৎসবে গত রোববার শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ ছিলো উৎসবমুখর। পিঠা উৎসব উপলক্ষে সমবেত হয়েছিলেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী️ ও কর্ম️কর্তা️-কর্ম️চারী। এতে ১৮টি বিভাগের ১৮টি স্টলে হরেক রকমের দেশি পিঠার সমাহার উৎসবটিকে একটি স্বার্থ️ক আয়োজনে রূপ দেয়। বর্ণি️ল বেলুন উড়িয়ে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এই আয়োজনের প্রধান অতিথি ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিন্সপাল(অবঃ) মোঃ আব্দুল হক।
তিনি বলেন, অন্তত এই উৎসবের কারণে আমরা গ্রাম গঞ্জের পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আসমা পারভীন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরাই আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য। ইংরেজি বিভাগের ছাত্র নিয়াজ বলেন, পড়াশুনার পাশাপাশি এই ধরণের আয়োজন আমাদের ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ করে দেয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কলেজে পরিচালনা পরিষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য প্রফেসর ড. জাকির হোসেন ভুইয়া এবং মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে সমাপনি বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যতে নিয়মিত এ ধরণের আয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করবো। পরে কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান অতিথি, অন্যান্য অতিথি ও শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুড়ে দেখেন।