বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয় গত ৩১ জুলাই। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে দেওয়া এই কমিটিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ কমিটি ঘোষণার চার মাস পর একই তারিখের প্রেস রিলিজে সম্পাদনা করে নতুন একজন সহ-সভাপতি পদ সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন সহ-সভাপতি হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রেহেনা আক্তার ঝুমা।
সোমবার ঝুমা নিজেই তার নাম সংযুক্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ফেইসবুকে শেয়ার করেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
ফেসবুক পোস্টে ঝুমা লেখেন, আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত করায় সংগ্রামী সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ভাই ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ঝুমার সহ-সভাপতি হিসেবে পদায়নের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক ও ইবি শাখার তত্বাবধায়ক শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ। শাহেদ জানান, বিজ্ঞপ্তিটি অবৈধ নয়। যখন আমরা সিভি সংগ্রহ করি তখন ওই মেয়েটাই (ঝুমা) সিভি দিয়েছিল। কিন্তু কমিটি থেকে বাদ পড়ে যায়। সেই মেয়েটাকে আগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিই সম্পাদনা করে পদায়ন করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। তিনি বলেন, সে সিভি জমা দিয়েছিলো। তবে ৪ মাস পূর্বে যখন কমিটি অনুমোদন হয়, তখন তার নাম ছিলো না। একজন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের কাছ থেকে সে প্রেস রিলিজ পেয়েছে বলে জানিয়েছিলো। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছিলাম। তারা তেমন কিছু এ বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মুঠোফোনে একাধিক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে দপ্তর সম্পাদা ইন্দ্রনীল দেব জানান, বিষয়টি শুনেছি। এটি খুবই বিব্রতকর। আমার জানা নেই কিভাবে এটা ঘটেছে।
তবে পুরোনো প্যাডে নতুন সহ-সভাপতি পদায়ন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক পদধারী ও পদবঞ্চিত নেতা-কর্মী। একইসাথে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ইবি ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি করা বা নতুন করে পদায়ন করার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের। প্রেস জালিয়াতি করে নতুন করে পদায়ন করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক,যা সংগঠনের ভাবমূর্তি ভীষনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।যে বা যারা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীর দাবি।