বাংলাদেশ পুলিশে স্বচ্ছ ও আধুনিক প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে ৪ হাজার প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান, বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ৪ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। আবেদনের শেষ দিন ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। মোট আবেদনকারী ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭২১ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৪০ জন, নারী ১৫ হাজার ৯৮১ জন।
ওয়েববেইজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ, কাগজপত্র বাছাই ও ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে কনস্টেবল পদে ৪ হাজার প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ওয়েববেইজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ে একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল এবং উচ্চতার ভিত্তিতে শূন্য পদের বিপরীতে ১:৩৫ অনুপাতে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থী বাছাই করা হয়। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৩৭ জন এবং নারী ১৪ হাজার ৬৬৬ জন। ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্টে উত্তীর্ণ হন ৩১ হাজার ৪০৫ জন। তাঁদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩১ হাজার ২৫৪ জন। তাঁদের মধ্য থেকে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকভাবে ৪ হাজার প্রার্থী ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে দীর্ঘ চার দশক পর বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগবিধি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত নিয়োগবিধিতে ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো ৩ হাজার প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে। এবার দ্বিতীয়বার সম্পূর্ণ মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে চার হাজার প্রার্থী নিয়োগ করা হলো।
স্বচ্ছ ও আধুনিক প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে প্রার্থী নিয়োগ ইতোমধ্যে সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জনগণকে উন্নত ও আধুনিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদে নিয়োগবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন নিয়োগবিধি অনুযায়ী সেরা প্রার্থীদের পুলিশে নিয়োগ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় আইজিপি বলেন, “আমরা জব মার্কেট থেকে ‘বেস্ট অব দ্য বেস্ট’ প্রার্থী বাছাই করতে সক্ষম হয়েছি। যাঁরা মেধা এবং শারীরিক দিক থেকে অধিকতর যোগ্য। তাঁরা জনগণকে আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবেন”।