পেট্রোল পাম্প মালিকদের জন্য কমিশন ও পরিবহন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। এ ছাড়া পাম্প মালিকরা এখন ‘জ্বালানী তেলের ডিলার বা এজেন্ট’ হিসেবে পরিচিত হবেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পেট্রোল পাম্প মালিকদের জন্য এ কমিশন ও পরিবহন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
নতুন গেজেট অনুযায়ী, ডিলাররা প্রতি লিটার ডিজেলে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, প্রতি লিটার অকটেনে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, প্রতি লিটার পেট্রলে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং প্রতি লিটার কেরোসিনে ২ শতাংশ বিক্রয় কমিশন পাবেন। নতুন গেজেটে পরিবহন ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে।
গেজেট অনুযায়ী, ‘৯ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিটি ট্যাংক-লরি প্রথম ৪০ কিলোমিটার (৮০ কিলোমিটার আপ-ডাউন ট্রিপে) পরিবহনের ভাড়া হিসেবে পাবে ডিজেলের মূল্যের ২.৮৫ শতাংশ। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের জন্য তারা আধা লিটার ডিজেল হারে একই পার্সেন্টেজ পাবেন। এটা সব ধরনের জ্বালানি তেলের জন্য প্রযোজ্য হবে।’
৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তিন দফা দাবিতে ধর্মঘটে শুরু করে। দফাগুলো হলো, পাম্প মালিকদের জন্য প্রতি লিটারে ৭.৫ শতাংশ সেলস কমিশন নির্ধারণ, ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৫০ বছর নির্ধারণ এবং পাম্প মালিকদের ‘কমিশন এজেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা।
এর আগে ১৬ ঘণ্টা ধর্মঘটের পর সরকারের আশ্বাসে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা ধর্মঘট স্থগিত করেন।