কাতার বিশ্বকাপে এবারের সবচেয়ে বড় অঘটন কোনটি? সোজাসাপ্টা জবাব আসবে, সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হার। ৩৬ ম্যাচ ধরে অজেয় থাকা দলকে ২-১ গোলে হারিয়ে শুরু অ্যারাবিয়ানদের। এই একটি জয়েই তারা সারাজীবন বলার মতো গল্প লিখে ফেলেছে। কিন্তু এখানেই থামতে চায় না হার্ভ রেনার্ডের দল, পোল্যান্ডকে হারিয়ে আরেকটি ‘আরব্য রজনী’লেখার অপেক্ষায় তারা। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আল রায়ানে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে এখন শীর্ষে সৌদি আরব। জিতলেই ১৯৯৪ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপ শেষ ষোলোতে উঠবে তারা। যদিও পরিসংখ্যান মোটেও অনুকূলে নেই। ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাদের ১০ বিশ্বকাপ ম্যাচের নয়টিতেই হার। এর মধ্যে আছে ২০০২ সালে জার্মানির কাছে ৮-০ গোলে বিব্রতকর হারের দুঃসহ স্মৃতি। কিন্তু ফরোয়ার্ড সালেহ আল শেহরি জানেন, এই সৌদি আরব একেবারেই আলাদা একটি দল।
অতীত নিয়ে একদমই ভাবছেন না আল শেহরি, ‘হারগুলো অতীতের। আমি মনে করি একটি দল হিসেবে শীর্ষে থাকতে চাই। গত ২০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি, পরিশ্রম করেছি। এখন ২০২২ সালে কাতারে আমরা ইতিহাস গড়লাম এবং আরও কিছু হতে যাচ্ছে।’
২০১৮ সালে মিশরের বিপক্ষেও ২-১ গোলে জিতেছিল সৌদ আরব। এই প্রথমবার বিশ্বমঞ্চে টানা দুই ম্যাচে দুটি গোল করলো তারা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পোল্যান্ডকে হারাতে মরিয়া অ্যারাবিয়ানরা। চাপের কথা স্বীকার করলেন আল শেহরি, ‘চাপ সবসময় থাকে, যখন আপনি শীর্ষ পর্যায়ে খেলেন।’
সৌদি আরবের চেয়ে পোল্যান্ডেরই চাপ বেশি। মেক্সিকোর বিপক্ষে আক্রমণে ভুগতে হয়েছে তাদের। শেষ দিকে গুইলেরমো ওচোয়া গোলপোস্টে অদম্য ভূমিকা রাখায় তিন পয়েন্ট পেতে গিয়েও পায়নি। রবার্ট লেভানডোভস্কির পেনাল্টি রুখে দেন মেক্সিকান গোলকিপার। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার শেষ ষোলোতে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই পোলিশদের সামনে। কিন্তু ওই যে, মনোবলে যে ধাক্কা লেগেছে, সেটা উড়ন্ত সৌদি আরবের সামনে সামলে নিতে পারবে কি না সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।