গুণীজনেরা জাতির গর্ব ও অহংকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকৃত গুণীজন কখনো পুরস্কার বা সম্মাননার আশায় কাজ করেন না, তবু পুরস্কার-সম্মাননা জীবনের পথ চলায় নিরন্তর প্রেরণা যোগায়।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) একুশে পদক প্রদান উপলক্ষকে সামনে রেখে এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৪ গুণীজনকে এ পদক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একুশের চেতনাকে ধারণ করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা প্রভূত অবদান রাখছেন, তাদের সকলের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা গৌরবময় একুশে পদক প্রদান করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারে ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য দুইজনকে মরণোত্তর, ভাষা-সাহিত্যে দুইজন, শিল্পকলায় সাতজন, মুক্তিযুদ্ধে চারজন, সাংবাদিকতায় একজন, গবেষণায় চারজন, শিক্ষায় একজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন এবং সমাজসেবায় দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পদক প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা মরণোত্তর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তাঁদের আত্মার শান্তি প্রার্থনা করছি। আর যারা আজ পুরস্কার গ্রহণ করছেন, তাদেরকে আমরা আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবছর মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদগণের স্মরণে একুশে পদক প্রদান আমাদের সকলকে জাতীয়তাবোধের চেতনায় ভীষণভাবে উজ্জীবিত করে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে গত ১৩ বছরে দেশের আর্থসামাজিক খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি আমরা। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি এবং মুজিববর্ষ উদযাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, রূপকল্প-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। ইনশাল্লাহ, অচিরেই আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।