ঝড়-বাতাস, অতিবৃষ্টিসহ সব ধরনের অকল্যাণ থেকে মহানবী (সা.) পরিত্রাণ চেয়েছেন। তাই কঠিন দুর্যোগকালে বাহ্যিক প্রস্তুতির পাশাপাশি তা থেকে পরিত্রাণ চেয়ে দোয়া করা সুন্নত। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল প্রচণ্ড বাতাস দেখলে এই দোয়া পড়তেন,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا، وَخَيْرِ مَا فِيهَا، وَخَيْرِ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা, ওয়া খাইরি মা ফিহা, ওয়া খাইরি মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি। ’
অর্থ : হে আল্লাহ, এই প্রচণ্ড বাতাস যেসব কল্যাণ ও উপকার নিয়ে এসেছে তা আমি আপনার কাছে চাই।
এই প্রচণ্ড বাতাস যেসব ক্ষতি ও মন্দ নিয়ে এসেছে তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৪৯)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন—
اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বিগজবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা ওয়া আফিনা কবলা জালিকা।
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করবেন না। আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। বরং এসবের আগেই আমাদেরকে পরিত্রাণ দিন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫০)
অন্য হাদিসে আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) অতিবৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে দুই হাত উঁচিয়ে এই দোয়া করেছন―
اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلا عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ، وَالظِّرَابِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা আলাইনা, আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াজ জিরাবি। ’
অর্থ : হে আল্লাহ, বৃষ্টি আমাদের ওপর থেকে আশপাশের অঞ্চলে সরিয়ে দিন, পাহাড়-মরু, খাল-বিল ও বনাঞ্চলের দিকে সরিয়ে নিন। (বুখারি, হাদিস : ১০১৩)