প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের হোতা, নামধারী সাংবাদিক কাজী এরতেজা হাসানকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাল-জালিয়াতির মামলায় মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে কল্যানপুর কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর একটি দল। সেখানে নিয়ে রাতেই তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে এরতেজাকে আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানান পিবিআই সদর দপ্তরের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী।
পিবিআই জানায়, জমির দলিল জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর দক্ষিণখানের কাওলা এলাকায় গড়ে তোলা হয় বেসরকারি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়। এই জালিয়াতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কাজী এরতেজা হাসান। এ সংক্রান্ত একটি মামলার আসামি তিনি। সেই মামলায় গতকাল রাতে ‘ইভা রোজ’, বাড়ি নম্বর-৬/বি, রোড নম্বর -৪৪, গুলশান-২ এর বাসা থেকে কথিত সাংবাদিক এরতেজাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই এর একটি টিম।
পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতিসহ নানা প্রতারণা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে ও নিজের অপকর্ম চালিয়ে যেতে সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে সর্ম্পক রেখে চলাফেরা করেন কথিত এই সাংবাদিক।
এরতেজা হাসানকে মুখোশধারীর সঙ্গে তুলনা করেন দৈনিক ভোরের পাতায় প্রতারিত সাংবাদিকরা। তারা জানান, বেতন চাইতে গেলে এরতেজা হাসান অস্ত্রের মুখে শারীরিক নির্যাতন করেন। অনেককে বকেয়া বেতনের জন্য অফিসে ডেকে নিয়ে খাতায় স্বাক্ষর দিতে বলা হয়। স্বাক্ষর দেওয়ার পরই এরতেজা হাসান ও তার সন্ত্রাসীরা বেতন না দিয়ে জোরপূর্বক অফিস ত্যাগে বাধ্য করেন।
পাশাপাশি কাজী এরতেজা হাসানের বিরুদ্ধে নিজেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের লোক দাবি করে সবসময়ই প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ভয়ভীতি দেখানো এবং ভোরের পাতায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আশিয়ান গ্র“পের ২০ কোটি টাকা আÍসাৎ করে জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক বিঘা জমির মালিক বনে যান নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ। তাকে এই জালিয়াতির কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন এরতেজা হাসান। তারা জমির ভলিউম জালিয়াতির মতো জঘন্য অপরাধ করেন। এ সংক্রান্ত খিলক্ষেত থানার একটি প্রতারণা মামলা হয়।