২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪১ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে ৩৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
এবার প্রতিরক্ষা বাজেটে প্রতিরক্ষা সার্ভিসের পরিচালন ব্যয় বাবদ ৩৮ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ১ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সার্ভিসের জন্য পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পরিচালন ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।
জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’-এ বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন। সেই নীতিমালার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার যে নীতি নিয়েছিল, তা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ওই কর্মসূচি ২০১৭ সালে হালনাগাদ করা হয়। মূলত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নৌবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির পর ফোর্সেস গোল ২০৩০ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
ফোর্সেস গোল ২০৩০ কর্মসূচির অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য, বহুমাত্রিক যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো; যাতে এই বাহিনী জলে, স্থলে ও আকাশে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠে । এই কর্মসূচির আরও লক্ষ্যের মধ্যে আছে সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার, জনবল বাড়ানো, আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ এবং বাংলাদেশের সমরাস্ত্র উৎপাদন ও গবেষণার সামর্থ্য অর্জন।
আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী আধুনিকায়নের চলমান প্রক্রিয়া যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বতোভাবে অব্যাহত থাকবে।