বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা লিখবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী। পদ্মা সেতুর অর্জনে অনুপ্রাণিত হয়ে অনধিক ১০০ শব্দের শুভেচ্ছা বার্তা লিখবে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধান এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।
মাউশি অধিদপ্তর বলছে, সাম্প্রতিককালে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ‘পদ্মা সেতু’। ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপ আমাদের গর্বিত করেছে। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা পদ্মা সেতুর অর্জনে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা লিখবে। শুভেচ্ছা বার্তাটি ১০০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুভেচ্ছা বার্তায় পদ্মা সেতু নির্মাণে ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয়ের চিত্র ফুটে উঠবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেরা শিক্ষার্থীদের লেখা শেখ রাসেল দেয়ালিকায় উপস্থাপন করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রত্যেক শ্রেণি থেকে বাছাইকৃত একটি সেরা লেখা ইমেইলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
জানা যায়, মাউশি অধিদপ্তরের চিঠি পাওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছে। কোনো কোনো স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাসে শুভেচ্ছা বার্তা কীভাবে লিখবে সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। বেশিরভাগ স্কুলই বাসা থেকে শুভেচ্ছা বার্তা লিখে এনে স্কুলে জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা বলছেন, মাউশি অধিদপ্তরের এই পরিকল্পনাটি চমৎকার। কিন্তু এ ব্যাপারে তেমন কোনো প্রচার হয়নি। ফলে অনেক স্কুল এ ব্যাপারটি খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। আরো কিছুদিন আগে এই নির্দেশনা পাঠানো হলে শিক্ষকরা একাধিক ক্লাসে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন। এতে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তা লিখতে সহজ হতো।
জানতে চাইলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি তারা এ শুভেচ্ছ বার্তা লিখেও আনতে পারবে আবার প্রথম পিরিয়ডে বসে লিখেও দিতে পারবে। সাদা কাগজে পর্যাপ্ত মার্জিন রেখে লেখার জন্য বলেছি। প্রয়োজনে কেউ কোনো ডিজাইনও করতে পারবে। নিজের নাম, শ্রেণি ও আইডি নম্বর লিখতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক লেখাগুলো পড়ে প্রতি শ্রেণি শাখা থেকে সেরা পাঁচ লেখা আমার কাছে জমা দেবেন। আমি সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে চূড়ান্ত বাছাই করে দেয়ালিকায় দেব। আর প্রতি শ্রেণি থেকে একটি সেরা লেখা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।’