তৃণমূল আওয়ামী লীগের পর এবার গণভবনে ডাক পেয়েছেন সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারা।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের গণভবনে প্রবেশের জন্য মনোনয়নপত্রের স্লিপ অংশটুকু প্রদর্শন করতে হবে।
এর আগে শনিবার সকালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতির সাক্ষাৎ পেয়েছেন সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলার নেতারা৷ আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত যেনো না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেন দলীয় প্রধান।
জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ১৪ মার্চ। অবশ্য সংরক্ষিত নারী আসনে সাধারণত নিজেদের প্রাপ্য আসনগুলোয় একক প্রার্থী মনোনয়ন দেয় দল বা জোটগুলো। ফলে এখানে ভোটের প্রয়োজন হয় না।
সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলোর পাওয়া আসনের বিপরীতে সংখ্যানুপাতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৩টি আসনে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন ৬২টি আসনে। তারা সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দুটি দল দুটি আসন পেয়েছে। তারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেছে। ফলে আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি আসন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তারা দুটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে।
আওয়ামী লীগ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। প্রথম দিন ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি। দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়। তৃতীয় ও শেষ দিন ফরম বিক্রি হয় ৮১০টি।
মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন এক হাজার ৫৪৯ জন। মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলের আয় হয়েছে মোট সাত কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।