প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে পানি ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, আইন এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। সংখ্যাটা আরও বেশিও হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমন তথ্য জানান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সুসম্পর্ক সার্বিকভাবে আরও এগিয়ে নিতে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি এবং বিদ্যমান গতিশীল সম্পর্ক আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যায়।’
দুই দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ও পরিবর্তিত বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়ও তা ফুটে ওঠে।
মোমেন বলেন, ‘কোভিড মহামারি, ইউক্রেন সংকট ও বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের পারস্পরিক সমঝোতা ও সাহায্যের মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ বা নীতি নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে প্রতীয়মান হয়।
‘দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যেমন- দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ ইত্যাদি বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, বাংলাদেশ ভারত থেকে জ্বালানি তেল কিনতে পারে। ভারতের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কেনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় কোনো দেশের তেল ভারতের মাধ্যমে কেনার পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই।