শফিকুল ইসলাম ,শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের মধ্যে একটি মহান সাফল্য পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করা। আগামী ২৫শে জুন এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সংযোগের মধ্যে দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে সর্বস্তরের জনগণ মনে করেন।
আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মাইলফলক। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে শত বাধা উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন সততা, স্বচ্ছতা ও সাহসিকা এবং দেশপ্রেম থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়।
শুক্রবার বিকালে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির বাচ্ছু ছৈয়াল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপি ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে, ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইমদাদুল হক ইনু বেপারী, চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবলু সিকদার,ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ গোলন্দাজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খানম লাভলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মোল্যা,সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান বাচ্ছু মাদবর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ লিটন হাওলাদার, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার সরদার, তথ্য সম্পাদক জুলহাস মাদবর,পৌরআওয়ামীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার আবু বেপারি, সাধারণ সম্পাদক বাচ্ছু মাদবর, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম,
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল মাদবর, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি কামাল হোসেন হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন, সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলম সহপ্রমূখ।
নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা করেছেন বলেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য পদ্মার পার জনসমুদ্রে পরিনত হবে। পঁচিশে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মিলনমেলা এবং উৎসবের জনস্রোত হবে পদ্মার পর। এই জনস্রোত সফল করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সব শ্রেণী পেশার মানুষ হাজির হবেন পদ্মা পাড়ে। কারণ শেষ পর্যন্ত বাঙালির স্বপ্নের মিনার-পদ্মা সেতু চালু হতে যাচ্ছে। এটি নিশ্চয়ই নিছক স্টিলের কোনো কাঠামো নয়, পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের নাম। জাতীয় অহংকার ও সাহসের আরেক নাম।
নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুজনই দক্ষিণ বাংলার মানুষ। বাবার মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যাও এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন।একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই পারে পদ্মা সেতুর মত বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে। তাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় বিএনপির রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে। অথচ দলটির নেতারা পাগলের প্রলাপ করছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ভিশনারি লিডার। তিনি পদ্মা নদীর ওপর সেতুর শুধু স্বপ্নই দেখেননি তার বাস্তব দেখতে চেয়েছিলেন। সে স্বপ্ন এখন বাস্তব। নিজস্ব অথায়নে পদ্মা নির্মাণ করে শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি সক্ষমতার প্রতীক সেটা প্রমাণ দিয়েছেন।