রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের পোরজনা ইউনিয়নের পোরজনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমলমতি শিশুদের জুতা পায়ে দিয়ে শ্রেণি কক্ষে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদ আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে। কিন্তু সহকারী শিক্ষক ঠিকই জুতা পায়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ সহকারী শিক্ষকগন। তারা এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলেন প্রতিবেদককে। সরজমিনে গিয়েও দেখামেলে এমনি চিত্র।
দেখা যায়, বিদ্যালয়ে চলছে ক্লাস কিন্তু কোন কমলমতি শিশুদের পায়ে নেই জুতা। কিন্তু সহকারি শিক্ষকগণ জুতা পরেই ক্লাস নিচ্ছেন বাচ্চাদের। প্রতিবেদক এর সাথে কথা হয় ৩য় শ্রেণীর কমলমতি শিক্ষার্থী সাকিব, ৪র্থ শ্রেণীর বলরাম সুত্রধর, সানজিদা এবং সুমন এর সাথে। তোমরা খালি পায়ে ক্লাসে কেন এসেছো জিজ্ঞাসা করা হলে তারা চুপ করে থাকে কিন্তু তখন তাদের চোখে মুখে দেখা যায় একধরনের ভয়ের ছাপ। ভয়ে ভয়ে বলে আমরা প্রথম থেকেই খালি পায়ে ক্লাস করি।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক নিজস্ব নিয়মেই বিদ্যালয় পরিচালনা করেন তাই কমলমতি শিশুদের জুতা পরে ক্লাসে ঢুকতে দেয় না। খালি পায়ে থাকলে যদি শিশুদের কোন অসুখ বিসুখ হয় তার দায়ভার কে নিবে এমন প্রশ্নের উত্তর ছিল না প্রতিবেদকের কাছে।
জুতা পরে শিশুদের ক্লাসরুমে ঢুকতে দেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক রাশেদ আহম্মেদ বলেন পরিবেশ নষ্ট হয় তাই বাচ্চাদের বাহিরে জুতা খুলে ক্লাস করতে বলেছি। কিন্তু আপনার সহকারি শিক্ষকগণতো জুতা পায়ে দিয়ে ক্লাস নিচ্ছে তখন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদত্তর দেননি। খালি পায়ে থাকার কারনে এই কমলমতি শিশুদের যদি কোন অসুখ-বিসুখ হয় তাহলে এর দায়ভার কে নিবে প্রতিবেদকের এমন প্রশ্ন তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলুল হক বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের এমন কোন নির্দেশ নেই যে খালি পায়ে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে। খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করাবো।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, আগামীদিনে যেন এমন না হয় সে বিষয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।