পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রবাসীদের সব যৌক্তিক দাবি সমূহের ব্যাপারে সরকার খুবই আন্তরিক। বিমানবন্দরে হয়রানি, সহজ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থাসহ যতগুলো পরামর্শ আমরা পাচ্ছি তা সমাধানের চেষ্টা চলছে৷ দেশের সব ব্যাংক প্রবাসীদের সেবার ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।
শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজার এক্সপো সেন্টারে আইডিয়া গ্যালারি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী প্রবাসী উৎসবের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে,ন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান নাসের সিআইপি।
এর আগে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন,বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্ব বহন করে। দেশের উন্নয়নে ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে সহযোগী হতে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা করা ভালো। তবে সমালোচনা রাজনীতির উদ্দেশ্যে যেন না হয়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অর্থনীতি আর রাজনীতিকে এক করা উচিৎ না।
এসময় বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ, অবৈধ স্বর্ণ চালান রোধ করা, বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ, রেমিট্যান্স প্রেরণে চার্জ মওকুফ করা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের জটিলতা নিরসনেসহ বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন প্রবাসীরা।
উদ্বোধনী সভার পর অতিথিরা প্রবাসী উৎসবে অংশ নেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখেন৷ বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যাংক ও আমিরাতের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ মিলে ২০টি প্রতিষ্ঠান উৎসবে স্টল নিয়ে নিজেদের উপস্থাপন করছে।
শনিবার প্রবাসী উৎসব নারীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আয়োজক জর্জ খান জানিয়েছেন। এদিন নারী শিল্পীদের পরিবেশনা, নারী ফ্যাশন শো, নারীদের পিঠা প্রতিযোগিতা ও রেমিট্যান্স প্রেরণে ভুমিকা রাখায় প্রবাসী নারীদের সম্মাননা প্রদান করা হবে৷
এছাড়াও রোববার শেষদিনে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।