মৃত্যুর প্রায় এক সপ্তাহ পর প্রবাসী স্বামীর লাশ বাড়িতে আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় বড় ছেলেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তাকে হাসপাতালে রেখেই স্বজনেরা বাবার লাশের দাফনের ব্যবস্থা করেন। একটু সুস্থ হলে ছেলেকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে মাকে কবর দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
২২ জুন প্রবাসী জামাল উদ্দিন (৪৭) মালদ্বীপে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নানা চেষ্টা-তদবিরের পর গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টায় তাঁর লাশ ফেনীর ফরহাদনগর ইউনিয়নের চর কালিদাস গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।
৬ দিনের ব্যবধানে বাবা ও মাকে হারানোর শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন ছেলে আজাহার (১৮) ও হৃদয় (১৫)। ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি দেয়ার কথা রয়েছে আজাহারের এবং তার ছোটভাই হৃদয় স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
ফেনী জেলা ক্রিকেট একাডেমির কোচ রিয়াজ উদ্দিন রবিন জানান, আজাহার বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় একই কবরস্থানে স্বামীর কবরের পাশে স্ত্রী খোদেজা বেগমকেও কবর দেওয়া হয়। এ সময় স্বজনদের সঙ্গে দুই ছেলেও মায়ের জানাজায় অংশ নেন।